দীপ্তর নিজস্ব জগৎ এবং অন্তর্নীলার উপস্থিতি

দীপ্তর একটা একেবারে নিজস্ব জগৎ আছে। সেখানে শুধুমাত্র দীপ্ত যাতায়াত করে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে, সেই নিভৃত জগতে অন্তর্নীলার অবাধ বিচরণ।

দীপ্তর বেশ লাগে এসব নিয়ে ভাবতে, কারণ এর আগে কখনো কেউ এমন করে তার ভেতরের জগতে প্রবেশ করেনি। এই অনুভূতি দীপ্তর জীবনে অত্যন্ত সুন্দর, নিখাদ আনন্দের।

অন্তর্নীলা বেশ কয়েকবার জানতে চেয়েছে,
“দীপ্ত, তুমি আমাকে এমন করে কেন ভালোবাসো? একটু কমও তো ভালোবাসা যায়!”

প্রতিবার এই প্রশ্নে দীপ্ত মুচকি হেসেছে।

কিন্তু সেদিন…
সেদিন দীপ্ত দৃঢ় চোখে অন্তর্নীলার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটার উত্তর ঠিক এমন করেই দিয়েছিল—

“অন্তর্নীলা, তুমি কখনো ভেবে দেখেছো?
পৃথিবীতে এত মানুষ থাকতে—
একটা মানুষ তোমাকে খুব ভালোবাসে।
তোমার সঙ্গে কথা বলতে না পারলে ছটফট করে।
তোমার মিষ্টি কণ্ঠ না শুনলে অস্থির হয়ে যায়।
তোমায় একদিন না দেখলে, চারদিক কেমন অন্ধকার হয়ে যায়।
তোমার জন্য অপেক্ষা করার কথা মনে হলেই, চোখে জল চলে আসে—অঝোরে।
তোমার সামান্য অভিমান হলে, পায়ের তলার মাটি সরে যায়।
বুকটা হু হু করতে থাকে…

এসব কি এমনি এমনি হয়, অন্তর্নীলা?
একটা মানুষকে কতটা ভালোবাসলে, তার ভেতর এমন অনুভূতি জন্মাতে পারে—
আমার জানা নেই।

তবে আমি জানি—
প্রতিটি সম্পর্কই সুন্দর,
প্রতিটি ভালোবাসাও,
যদি মানুষটা সঠিক হয়।

দীপ্তর নিজস্ব জগৎ এবং অন্তর্নীলার উপস্থিতি
দীপ্তর নিজস্ব জগৎ এবং অন্তর্নীলার উপস্থিতি

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *