অন্তর্নীলা : দীপ্তর মনের ছোট্ট জগৎ

দীপ্ত আজকাল বড্ড বেশি সচেতন।
নিজের শরীর, নিজের ড্রেস-আপ, খাওয়া-দাওয়া—সব কিছু নিয়েই এখন তার যত্নের শেষ নেই। সারাদিন কাজের মধ্যে হোক কিংবা কাজের বাইরে, সবসময়ই সে তার জীবনের একমাত্র কাছের মানুষটির কথা ভাবে।

দীপ্ত মনে মনে ভাবে, ভাগ্যিস তার জীবনে এমন একজন শান্ত নদীর মতো নারী এসেছে।
সেই নারীকে দীপ্ত আদর করে একটা নাম দিয়েছে—“অন্তর্নীলা”
নামটা বেশ বড়ো হলেও, সে এই নামেই ডাকে তাকে।
অন্তর্নীলারও বেশ লাগে এই ডাক।

দুজনের দেখা হলে দীপ্ত প্রায়ই কিছু কথা বলে যায়, যেন মনের অগোচরেও জমে থাকা ভালোবাসার ছোট ছোট কবিতা —

অন্তর্নীলা,
তোমার জন্য একটি ঘর রেখেছি—
সে ঘরটি ছোটো, কিন্তু শুধু তোমার জন্য।
তুমি ছাড়া সেখানে আর কারোর আনাগোনা থাকবে না।

তোমার জন্য বায়না করে রাখা একটি উঠোন আছে,
যেখানে তুমি নূপুর পরে হেঁটে বেড়াবে।

তোমার জন্য বসানো একটি গন্ধরাজ গাছ আছে,
যা রোজ নিয়ম করে শুধু তোমার জন্যই ফুটবে।

তোমার জন্য পূর্ণিমার ভরা রাত গুলো রেখে দেবো—
যে রাতের চাঁদ শুধুই তোমাকে দেখে হাসবে।

তুমুল ঝড়ের শেষে, তোমার জন্য রেখে দেবো মাতাল এক হাওয়া।

কিন্তু আমায় কথা দাও—
তোমার বিষণ্ন রাতগুলো তুমি আমায় দেবে।
তোমার বুকে জমে থাকা সব ক্ষোভ আমার ওপরেই উগরে দেবে।

আর সবশেষে…
তোমার পিছুটানে যখন তুমি ডাক দেবে,
সেই ডাকে যেন তোমার জন্য এক কাঙালের ভিক্ষে করার তাড়াও লুকিয়ে থাকে।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *