যখন থেকে নিজের জীবন শুরু করেছি তখন থেকে যে কতো রকমের অভিজ্ঞতা ঝুলিতে ভরেছি তার বলার মতো নয়।আরও যে কতো হবে ঈশ্বর জানেন।
আজ অফিস থেকে ফিরছি মাতারাঙ্গীর ওখানে একটি বাচ্চা ছেলে হাত দেখিয়েছে আমি ভেবেছি বাস কে দাঁড়াতে বলেছে মনে হয়।লুকিং গ্লাসে দেখতেই দেখলাম আমার দিকে হাত তাঁক করে আছে।আমি বেশ খানিক টা দূর এগিয়ে এসেছি বাইক দাঁড় করালাম কি মনে হলো বাইকে ঘুরিয়ে ওর কাছে গেলাম।
কি রে কি হলো?
দিদি আমায় একটু লিফ্ট দেবে?
ঔ তো সামনে ,কি যেনো জায়গাটার নাম মনে পরছে না।
জায়গার নাম যদি না বলিস তোকে নামাবো কোথায়?
ছেলেটি খানিক ইতস্তত হয়ে বললো -দিদি তোমার যেখানে রাস্তা শেষ হবে সেখানে নামিয়ে দিও।
আমি একটু সাত পাঁচ ভাবলাম “কি জানি কি মনে আছে “আজকাল তো বাচ্চাদের দিয়েও মানুষ কতো খারাপ কাজ করাচ্ছে।
তারপর বললাম -ওঠ।
ছেলেটি এক গাল হেসে বলল “সত্যি ?”
আমি বললাম হ্যাঁ ওঠ।
গাড়িতে বসেই শুরু হলো বকবক,আমিও কথার মধ্যেই ওকে রাখতে চাইলাম ।
প্রথমেই জিজ্ঞেস করলো -দিদি গাড়িটা তোমার ?
আমি বললাম “হ্যাঁ “
কতো টাকা নিয়েছে ?
আমি বললাম ।
এতো টাকা দিয়ে তুমি কিনেছো?নাকি কেউ কিনে দিয়েছে?
আমি কিনেছি।
তুমি কাজ করো?
হ্যাঁ রে কাজ না করলে খাবো কি।
আচ্ছা দিদি কোনোদিন আমি এমন বাইক কিনতে পারবো ?
আমি বললাম “এর থেকে ভালো কিনতে পারবি।
তারপর আগডুম বাগডুম কথা হতেই থাকলো।
ও হনুমান চল্লিশা বই বিক্রি করে বারাসাতের বিভিন্ন জায়গায়।আজ ওর পকেট থেকে ২০০ টাকা হারিয়ে গেছে।তাই লিফ্ট নিয়ে আসছে সবার কাছ থেকে।
ওকে নামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম “তোর মুখ টা এতো চেনা লাগছে কেনো বলতো?বলল ট্রেনে লজেন্স বিক্রি করি ।আমি বললাম হ্যাঁ ঠিকই তো তোকে ট্রেনেই দেখেছি।
ছেলেটি পড়াশোনা করে দিনের বেলায় ক্লাস সেভেন।
আমার কাছে ক্যাশ থাকে না তেমন ৫০ টাকাই ছিলো ওটা দিয়ে বললাম সাবধানে বাড়ি যাস।একটি হনুমান চল্লিশা বই ও দিলো।

