একটা কথা বলবো? শুনবি? একদম সত্যি কিছু অনুভূতির কথা।
জানিস, প্রতিটি মানুষের জীবনের সবথেকে সুন্দর মুহূর্ত কী জানিস? যখন কেউ তাকে ভালোবাসে। মন ভরে, বুকের ছোট্ট জায়গাটিতে আঁকড়ে ধরে, যাচ্ছেতাই রকমের ভালোবাসে।
তার চোখ-মুখ দেখলেই বোঝা যায়—সে এক অন্যরকম শান্তিতে আছে, আসলেই সে অদ্ভুত রকমের ভালো লাগা নিয়ে আছে। তার এই হঠাৎ হঠাৎ আনমনা হওয়ায় যে ব্যাপারটার মধ্যে একটা নতুন ফুটে ওঠা কাঠগোলাপের গন্ধ লেগে থাকে।
তার স্বভাবের সহনশীলতা, স্থিরতা যেন একটা হলুদ পলাশ ফুলটার মতো জ্বলজ্বল করে। কেমন এক আদর-মাখা মেঘ যেন তাকে ঘিরে থাকে সবসময়। মাঝে মাঝে সবার সামনে মুচকি হেসে ওঠে। জানা কত কাজ ভুল করে ফেলে।
মেয়েটি অসম্ভব তাড়াহুড়োতেও সে কাজল ভালোবাসে বলে তার জন্য সময় নিয়ে কাজল পরা, ছাদে সন্ধেবেলায় হাঁটতে হাঁটতে গুনগুন ভাঙা-ভাঙা শব্দে ভুলভাল গান গেয়ে ওঠা, রাস্তায় তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে অধৈর্য না হওয়া, বা শাড়িতে মাঝে মধ্যেই তার সামনে যাওয়া।
মানুষ যখন ভালোবাসে তখন সে বড্ড নরম তুলোর মতো হয়ে যায়। সারাদিন বাড়িতে চিৎকার করা মানুষটা কেমন চুপচাপ থাকে। থিতু হয়ে যায়, জীবনের বেশিরভাগ কাজগুলোতে ভুল করে ফেলে। একটু একটু করে তার মধ্যে মিশিয়ে নেয় নিজেকে। সে চায়, যাকে সে ভালোবাসে, সে মানুষটা তাকে হাজার ভিড়েও হামেশাই খুঁজে নিক, ভীষণভাবে সামলে নিক তাকে। ভোরবেলায় শিউলি ফুলের ঘ্রাণ নিতে শেখাক, হঠাৎ হঠাৎ রাগ হলে রাগ ভাঙাতে শেখাক, তার হাতটা ধরে বসুক কিছুক্ষণ। কখনও তার মুখের সামনের চুলটা সরিয়ে চুমু একে দিক তার নরম গালে।
খুব খুব মন খারাপের সময় দৌড়ে এসে জাপটে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে বলুক—“কেনো এমন করিস? তুই খুব খারাপ ছেলে।” তারপর চোখের জলে মুখ ভেসে যাবে, হিচকি উঠতে উঠতে আলতো সোহাগী স্বরে বলবে—“তবুও আমার তোকেই লাগবে।” বলেই হাত দুটো দিয়ে বুকে দুটো আলতো করে মেরে দেবে। তখন সামনের মানুষটি আরও জোরে জড়িয়ে ধরে কপালে আলতো ঠোঁটের ছোঁয়া দিয়ে বলবে—
“পাগলী আমার☺️”