তোমার সঙ্গে আমার এক সমুদ্র কথা বলতে ইচ্ছে হয়। একটা দিন তোমার কণ্ঠ না শুনলে আমার বুকের ভেতরটা ঊষোর মরুভূমির মতো খাঁ খাঁ করতে থাকে। আমি অপেক্ষা করতে থাকি তোমার ঠিক যেভাবে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে চাতক।
অসংখ্য চোখের ভীড়ে আমি খুঁজে বেড়াই তোমার একজোড়া স্নিগ্ধ শান্ত মায়াময় চোখ। অনেক লোকের মেলায় যখন তুমি আমায় খুঁজে নাও, এক পলকের দৃষ্টিতে বুঝিয়ে দিতে চাও আমার উপস্থিতি তোমায় আরাম দিয়েছে তখন মনে হয় বিরজার মতো আলিঙ্গন করি তোমায়। তারপর হয়ে যাই স্বচ্ছ সুগভীর এক নদী।
আমার জীবনে তোমার উপস্থিতি হলো ভোরের শিশির বিন্দুর মতো । ফুল যেমন সিক্ত হয় শিশিরের স্পর্শে, আমার মনও সিক্ত হয় তোমার ছোঁয়ায়। আমরা দুজন দুই বিপরীত মেরুর মানুষ। আমি আগুনের মতো দপ করে জ্বলে উঠি আর তুমি শীতল স্পর্শে আমাকে শান্ত করো। আমি ভীষণ যত্ন লোভী মেয়ে । তোমার মায়া জড়ানো স্পর্শ পাওয়ার লোভে কখনো কখনো ইচ্ছে ক’রে জলপূর্ন মেঘ জমিয়ে রাখি মনে। হয়তো তুমি তা বুঝতে পারো বা হয়তো পারোনা কিন্তু আমি তোমার চোখে আমার মন ভালো করার জন্য অস্থিরতাকে উপভোগ করি বেহায়ার মতো।
আমার শব্দেরা যখন হরতাল করে। কোনো কথাই যখন আমি সাজিয়ে লিখতে পারিনা। আমার তখন ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে পালিয়ে যাই নির্জন সমুদ্রের তীরে। কোনো এক পূর্ণিমা রাতের চাঁদ গলা জ্যোৎস্না মেখে পাশাপাশি বসবো আমরা আর আমাদের পায়ের পাতা ছুঁয়ে যাবে নোনা জল। তোমার কাঁধে মাথা রেখে আমি সাজিয়ে নেবো আমার এলোমেলো শব্দগুলোকে। চাঁদের আলোয় তোমার চোখে খুঁজবো আরাম আর তারপর মুহূর্তদের আটকে দেবো তোমার আমার মাঝে…

