আমার জন্ম, ছোটোবেলা, বেড়ে ওঠা মোট তিনটে গ্রামে। তখন এই তিনটে গ্রামকে এক কথায় অজপাড়া বলা চলে। মেঠো পথ, ইটের রাস্তা, পুকুরে স্নান করা, চটের বস্তা নিয়ে গাছতলায় প্রাইমারি স্কুলের পড়াশোনা, ভোরবেলা শিউলি ফুল কুড়াতে যাওয়া, বিকেলে সিঁদুর টোকা, গাদি, লুকোচুরি, লাল্টুর ভাই পল্টু, গোল্লাছুট, কখনো পুতুল খেলা—এসবের মাঝেই কেটে গেছে শৈশব।
এই পূজো ছিল আমাদের কাছে এক বিরাট আনন্দের সময়। মায়ের বকা নেই, পড়াশোনা নেই। ছিল একটি জামা, হেয়ার ব্যান্ড, মুখে মাখার স্নো-পাউডার, একটি নখপালিশ (নেইলপলিশ), লিপস্টিক, একটা টিপের পাতা, দুহাতে দুটো চুড়ি, কাঁচের ছোটো বোতলে রজনীগন্ধার সুগন্ধি।
সন্ধ্যায় মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে যাওয়া। এক প্লেট ঘুগনি, একটি বেলুন, আর ক্লাবের পূজোয় অনুষ্ঠান দেখা—সবই মাটিতে বসে।
কি সুন্দর দিন ছিল! কোনো চিন্তা ছিল না, কোনো চাহিদা ছিল না।
শুভ শারদীয়ার শুভেচ্ছা সকলকে। সবাই খুব আনন্দ করে পূজো কাটান। অনেক খুশি থাকুন, নিজের সঙ্গে পরিবারেরও খেয়াল রাখুন। জয় মা দুর্গা।

