বৈশাখের তপ্ত দুপুর পেরিয়ে বিকেল এক শান্ত নিরিবিলি বাগান। একটু দূরেই নাম না জানা নদী শো শো করে বয়ে চলেছে নিজের গতিতে।
বহুপুরোনো বট গাছ টি যেনো মাথার ওপর ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ,তারই ছায়াতলে খেজুর পাতার মাদুর বিছিয়ে, গাছে হেলান দিয়ে দু’পা সামনে লম্বা করে ছড়িয়ে বসে আছে অলকানন্দা।তার পায়ের নুপুর টি চকচক করছে ভারী সুন্দর দেখাচ্ছে।হাতে তার পছন্দের লেখকের বই।আজ খানিকক্ষন এভাবেই সময় কাটাবে সে।
কিছু সময় এভাবেই বইয়ের পাতায় মুখ গুঁজে থাকে অলকানন্দা।কখন যে অরন্য কালো পান্জাবী পরে এসে দাঁড়িয়ে আছে সে খেয়াল করেনি।
বেশ খানিক পর গলায় শব্দ করতেই অলকানন্দার চোখ যায় অরন্য এর দিকে এক মায়াভরা হাসি ফুটেছে অলকানন্দার মুখে।
অরন্য কোন কথা না বলেই অলকানন্দার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পরে।
অরন্য- অলকা মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেবে?
অলকানন্দা নরম হাতের আদুরে স্পর্শে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
সময় যেনো থেমে গেছে তাদের জন্যই।
দূরে কোথাও এক কোকিল ডাকছে—
তার সুর ভেসে আসছে ঝিমধরা বিকেলের নীরবতায়।
চারপাশ নিস্তব্ধ, হাওয়ায় গাছের পাতা কাঁপছে হালকা শব্দে।
সেই পাতার ফাঁক গলে রোদের ঝিকিমিকি মাঝে মাঝে এসে পড়ছে অলকানন্দার মুখে। অরন্য তাকিঁয়ে থাকে ওর একান্ত নিজের অলকার মুখের দিকে।কেমন এক শান্তি অনুভূত হয় অরন্যর সবটুকু জুরে।
আলো-ছায়ার খেলা যেন স্বপ্নের মতো লাগে তাদের।
এই একটুখানি মুহূর্ত…
এটাই হয়তো শান্তির সংজ্ঞা।
সময় যেনো থেমে যায়…………..