প্রিয় পাঠক,
এটা পড়ার আগে অবশ্যই এর আগের পার্টটা পড়তে হবে চোখের পলকে ☘️।
অঙ্কন বাড়ি ফিরে নিজের বাথরুমে ঢুকে যায়।
মস্ত আয়নায় তাকিয়ে আছে— “এ কী কাণ্ড! তার সাদা শার্টটায় লাল রং!”
সিঁদুরের দাগ ভালো করে দেখে বুঝতে পারলো।
হঠাৎ ওর খেয়াল হলো, মেয়েটির মাথায় সিঁদুর ছিলো— সেটাই ওর শার্টে লেগেছে।
একটু বিরক্ত হলো, শার্টটা নষ্ট হয়ে গেল এই ভেবে।
ফ্রেশ হয়ে এক কাপ চা নিয়ে বসেছে।
বাইরে তখনও বৃষ্টি হচ্ছে, তবে একটু কমেছে।
উথাল-পাথাল করে ভাবছে মেয়েটির কথা।
কিছুতেই মনে করতে পারছে না, মেয়েটিকে সে কি কোথাও আগে দেখেছে?
নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করছে।
ও চিনতে না পারলেও রমা অঙ্কনকে চিনেছে সেই দুর্যোগের রাতে।
রমার সঙ্গে মাস ছয়েক আগে অঙ্কনের বিয়ে হয়— বাড়ির অমতে।
লুকিয়ে বিয়ে করে ওরা।
ওরা দুজন দুজনকে অত্যন্ত ভালোবাসে।
অঙ্কন ভেবেছিল যেভাবেই হোক, বাড়িকে রাজি করাবে।
এই ভেবেই সে রমাকে তার নতুন ফ্ল্যাটে রেখে বাড়ি আসে।
রমাকে অঙ্কন কথা দিয়েছিল, ফিরবে খুব তাড়াতাড়ি।
তারপর সসম্মানে তাকে বাড়ি নিয়ে যাবে।
আপাতত এই ফ্ল্যাটটিই রমার বাড়ি।
রমার সুবিধা-অসুবিধা দেখবে বাড়ির কেয়ারটেকার।
বাড়ি ফেরার পথেই এক মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অঙ্কন।
হাসপাতালে যাওয়ার পর, দুদিন চিকিৎসার পর অঙ্কনের বাবা জানতে পারেন—
সে অনেক কিছু ভুলে গেছে।
তার পুরোপুরি মনে আসতে সময় লাগবে।
আদৌও মনে পড়বে কিনা, ডাক্তারেরা এখনই কথা দিতে পারছেন না।
রমা ঘটনা শোনার পর বারবার চেষ্টা করেছে অঙ্কনের সঙ্গে দেখা করতে,
কিন্তু সে ব্যর্থ হয়েছে।
দিন, মাস পেরিয়ে গেছে—
অঙ্কনের মনে পড়ছে না রমার কথা।
এদিকে রমা এক চোখ কান্না নিয়ে অপেক্ষা করছে—
তার এক পৃথিবী ভালোবাসার জন্য।
রমা মনপ্রাণ দিয়ে বিশ্বাস করে,
অঙ্কন ফিরবে তার কাছে—
অবশ্যই ফিরবে………
যেমন ইচ্ছে হয় লিখি। ভুল-ত্রুটি মার্জনীয়।