ময়ূরাক্ষী আজকাল বড্ড চুপচাপ।
সে আর আগের মতো প্রাণখোলা হেসে ওঠে না, আগের মতো গল্পও বলে না।
রাত জেগে যে একদিন গল্প করতো, হেসে উঠতো, আবোল-তাবোল বলে মনটা হালকা করতো—সে আজকাল একান্তে চুপ করে থাকে।
ময়ূরাক্ষীর মনে হয়, জীবনটা যেন এক অদ্ভুত পথচলা—
যেখানে প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু অপেক্ষা করে থাকে।
কখনও সুখ, কখনও দুঃখ, কখনও হাসি, আবার কখনও নিঃশব্দ কান্না।
এই মিলেমিশেই তো জীবনের সৌন্দর্য, আবার এখানেই লুকিয়ে থাকে তার গভীর বিরহ।
জীবন মানে শুধু নিশ্চিন্তে নিঃশ্বাস নেওয়া নয়—
জীবন মানে প্রতিটি মুহূর্তকে গভীরভাবে অনুভব করা,
প্রতিটি ছোট ছোট আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা।
সুখ-দুঃখের ক্ষণিক ঝলকগুলোই আসলে জীবনের আসল সৌন্দর্য।
জীবন আসলে এক রঙিন ক্যানভাস,
যেখানে রঙ তুলির খেলা চলে প্রতিনিয়ত।
তুলির টানের ওপর নির্ভর করে সেই ক্যানভাসের সৌন্দর্য—
যেখানে প্রতিটি অনুভূতি একেকটা রঙ।
কিছু রঙ উজ্জ্বল, কিছু রঙ ফ্যাকাশে—
তবুও সব রঙ মিলে তৈরি হয় এক অপূর্ব ছবি।
ময়ূরাক্ষী চায় সেই রঙ-তুলির টানে নিজের জীবনের ক্যানভাসটাকে রঙিন করে তুলতে।
আসলে, আমরা সবাই ময়ূরাক্ষী—
চেষ্টা করি নিজের মতো করে একটি সুন্দর জীবনের ক্যানভাস আঁকতে।
কেউ পারে, কেউ মাঝপথে ক্লান্ত হয়ে পড়ে,
আবার কেউ কেউ রঙ-তুলি হাতে নিয়েও ক্যানভাসে কেটে দেয় দাগ।
আর ঠিক তখনই,
ময়ূরাক্ষীদের সেই ক্যানভাস আর আঁকা হয় না…