অর্কর আগের দিন বেশ মন খারাপ হয়েছিল। দীঘিকে কাছে পেয়েও ভিজতে না পারার কষ্ট বুকে নিয়েই কেটেছে। সে মনে মনে ভাবছিল, এবার বৃষ্টি নামলে আর সে নিজের ইচ্ছেটাকে মরতে দেবে না। তাতে যা হয় হবে। বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে অর্ক।
সকাল থেকেই আকাশে মন খারাপের মেঘ—আকাশও যেন চাইছে আজ তারস্বরে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি নামুক। অভিমানের মেঘ ঝরে পড়ুক বৃষ্টি হয়ে… বৃষ্টির আগমন দেখে অর্ক মনে মনে এঁকে নিল অনেক কিছু।
ধুম জ্বর এলো অর্কর, জ্ঞান নেই প্রায় সারা রাত…
ভোর হলো, বেলা গড়িয়ে গেল… বেহুঁশ ক্লান্ত শরীরে অর্ক আবছা ভাবে খেয়াল করল কপালে শীতল, স্নিগ্ধ এক স্পর্শ… দীঘি হাত রেখেছে কপালে…
চোখ খুলে অর্ক দেখল, পাশে বসে রয়েছে দীঘি… থার্মোমিটার রয়েছে তাকের উপরে তোলা, তবুও অর্কর কপালে, বুকে হাতের তালুর উল্টো পিঠ ছুঁইয়ে উষ্ণতা বোঝার চেষ্টা করল দীঘি… একই স্পর্শে দীঘি বুঝল অর্কর জ্বরের উষ্ণতা, আর অর্ক বুঝল দীঘির হৃদয়ের… দুর্বল অসুস্থ শরীরেও অর্ক বড্ড সুখ অনুভব করল… অসুখের মাঝেও সুখ চুপটি করে লুকিয়ে থাকে, যদি ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকে…
ঘোর লাগা চোখে অর্ক রইল চেয়ে দীঘির চোখে… সময় থমকে গেল ওই মুহূর্তে… কয়েক জন্ম চেয়ে রইল ওরা, কয়েক জন্ম চেয়ে রয়েছে ওরা…
কয়েক জন্ম প্রতীক্ষার পর গভীর এক ভালোবাসার পুনর্জন্ম হলো আবারও…
এক অচেনা শব্দে অর্কর ঘুম ভাঙে…
অর্ক মুচকি হাসে, স্বপ্ন দেখছিল সে…