ময়ুরাক্ষীকে বিষন্নতা কখনো কখনো চোরাবালির মতো আকঁড়ে ধরে। তখন মনে হয় চোরাবালি ময়ূরাক্ষীকে বিভৎসভাবে বেঁধে রাখতে চাইছে। হাজার চেষ্টা করেও সেখানে থেকে নিজেকে বের করা যায় না। এক বিভীষিকাময় দিনের সূচনা হয়। সব কিছু থেকে পালাতে চাইলেও সেটা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এই মন খারাপের কারণ ময়ূরাক্ষী জানে না। সে জানে বসন্তের হাওয়ায় মন বড্ড এলোমেলো হয়। কী যেন নেই, কার যেন অপেক্ষা… কী যেনো ফেলে এসেছি, কিন্তু ঠিক মনে পড়ছে না…
অপেক্ষায় থাকা প্রেমিক কোকিলের কাতর অস্থির কুহু কুহু, সন্ধ্যায় হঠাৎ এলোমেলো হাওয়া, গভীর রাতে দক্ষিণের বারান্দা থেকে জুঁইয়ের ঝিম ধরানো সুগন্ধ ভেসে আসা… সাউন্ড সিস্টেমে মৃদু সুরে বাজছে “বিরহ মধুর হলো আজি রাতে…”
ময়ূরাক্ষী এখন বুঝতে পারে, বৃষ্টির আগে যে ঝড় সৃষ্টি হয়, প্রকৃতি যে ভয়ংকর রূপ নেয়, সেই মুহূর্তে ঠিক কেমন ভয় লাগে। তখন ময়ূরাক্ষীর মনে অজানা এক শূন্যতা নেমে আসে। বিভৎস মন খারাপ হয়ে যায়, পুরোনো সব দুঃখের স্মৃতি ফিরে আসে… যেন প্রকৃতির এই অস্থিরতা ময়ূরাক্ষীর মনের ভেতরেও আলোড়ন তোলে।
“যেন বাইরে হওয়া ঝড়ের থেকে ময়ূরাক্ষীর মনে তৈরি হওয়া ঝড় আরো বেশি ভয়ংকর…”
