অর্ক চাইছে তার সাংঘাতিক জ্বর হোক! জ্বরের ঘোরে সে দীঘিকে “তুমি” করে ডাকুক। দীঘি তার ডাকে সাড়া দিক।
সে এও চাইছে, অজস্রবার এই দগ্ধ বিকেলে পৃথিবীতে এমন ঝুম বৃষ্টি নামবে!
আকাশ তুমুল অন্ধকার হয়ে বজ্রের বার্তায় ঝাঁ শব্দে নামিয়ে দেবে বৃষ্টির একরাশ অপেক্ষার ঝাপটা!
যে ঝাপটা অর্কর শরীরকে ভিজিয়ে তীব্র জ্বরে কাবু করবে।
একটা হুড তোলা রিকশায় দীঘি এসে একগাল হেসে বলবে—
“চলো, বৃষ্টি ভিজি আজ!”
অর্ক অপলক চোখে তাকিয়ে মনে মনে ভাববে—
এই তো সেই দীঘি, যে আজও অর্কর ‘তুমি’ হয়নি।
অর্ক মনেপ্রাণে চাইছে দীঘির খোঁপার কাঁটা খুলে দিক, তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে যাক দীঘির লম্বা চুল।
তবুও অর্ক ইতস্তত করে বলবে—
“আপনি ভিজবেন না দীঘি, আপনার জ্বর হবে!”
অথচ, অর্কর একটা বৃষ্টি-ভেজা জ্বর বাঁধানোর খুব ইচ্ছে ছিল!!